স্বদেশ ডেস্ক:
ইরান যে একটি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধন করেছে তার দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নতুন দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা ইরানের এই পদক্ষেপকে, ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক জন কার্বি বলছেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে অন্তর্ভূক্ত করে অঞ্চলটিকে ইরানের অস্থিতিশীল করার কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করার ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন খুব স্পষ্ট, খুব সুনির্দিষ্ট এবং খুব দৃঢ় রয়েছে।
তিনি বলেন, এই কথিত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন বিষয়ে আমি কিছু বলবো না কিন্তু আমরা খুব স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অন্যন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে করে ইরান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিসহ ওই অঞ্চলে যা করছে তাকে প্রতিহত করা যায়।
ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন বলছে ফাতাহ বা বিজয় নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব অবধি যেতে সক্ষম, যেটি কি না ইরান ও জেরুসালেমে বিমান দূরত্বের একটু কম। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাঈসি নতুন এই অস্ত্রকে মধ্যপ্রাচ্যে ‘স্থায়ী নিরাপত্তা ও শান্তির’ সমন্বয়ক বলে বর্ণনা করেন।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ মঙ্গলবার জানিয়েছে যে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা সাতজন ব্যক্তি এবং ইরান, চীন ও হংকং এর ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে যারা তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ‘স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং প্রযুক্তি’ সরবরাহ করে থাকে যার মধ্যে রয়েছে পরমাণু অস্ত্রগুলোর জন্য ইউরেনিয়াম বিশুদ্ধিকরণ সেন্ট্রিফিউজ।
সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অফ দ্য ট্রেজারি ব্রায়ান ই নেলসন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে খর্ব করে এবং আমাদের প্রধান মিত্র ও অংশীদারদের হুমকির মুখে ফেলে এমন কর্মকাণ্ডের জবাব দিতে আমাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা